আমস্টারডামে (amsterdam) একদিন খুব কম। শুধু Rijksmusuem এ সারাদিন কাটানো যায় (আমার মতন যারা আর্ট এর আ বোঝেনা তারাও সারাদিন কাটিয়ে দিতে পারবে)। তাই একদিনের ট্রিপ খুব ভালো করে প্ল্যান করা ভালো।

এখানে বলে রাখি যে আমি ১২ ঘন্টা মতন সময় পেয়েছিলাম। সারাদিন পায়ে হেঁটে ঘুরেছি এবং জল, স্ন্যাক্স সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়েছি।

আমস্টারডাম (amsterdam) খুব দামি শহর – এমনকি ইউরোপের সব চেয়ে বেশি টুরিস্ট ট্যাক্স এই শহরেই নেয়া হয়। আর সময় নষ্ট না করে ট্রিপ মিটার টা শুরু করা যাক।

১. সকাল ৮ টায়  আমস্টারডাম সেন্ট্রাল স্টেশন (amsterdam centraal station)

২. অ্যান ফ্রাঙ্ক হাউস (anne frank house) – স্টেশন থেকে ১০ মিনিট হাঁটা পথ। কয়েক সপ্তাহ আগে টিকিট কাটতে হবে নাহলে ভেতরে ঢোকা যাবে না। আমি ঠেকে শিখেছি আপনারা দেখে শিখুন। টিকিট না পেলে মন খারাপ না করে একটা ওয়াকিং টুর  করে নিতে পারেন ২ ঘন্টায় €25 পকেট থেকে হালকা করে – অ্যান ফ্রাঙ্ক এর সময় কার গল্প, ইহুদিদের লুকোনোর জায়গা এবং প্রাসঙ্গিক দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ইতিহাস।

৩. পরবর্তী গন্তব্য Rijksmusuem – যদিও অ্যান ফ্রাঙ্ক হাউস থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা কিন্তু যেহেতু রাস্তায় অনেক অপূর্ব দৃশ্য তাই একটু বেশি সময় হাতে রাখা ভালো।

Rijksmuseum ডাচ শিল্প এবং ইতিহাসের জাতীয় museum. এই museum 1798 সালে Hague শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে 1808 সালে আমস্টারডামে (amsterdam) স্থানান্তরিত করা হয়।

Rijksmusuen এ ঢোকার মুখে লম্বা আর্চ যার নিচে দাঁড়িয়ে ক্লাসিকাল বাদ্যযন্ত্র বাজায় অনেকেই। সংগীত প্রেমী না হলেও আধ ঘন্টা বরাদ্দ রাখা উচিত।

Jan Davidz এর Festoon of fruit and flowers, Hendrick Avercamp এর Ice-skating in a village, Nicolaas Baur এর Women’s Skating Competition – (এই ছবিতে যেহেতু মহিলাদের চাদর খুলে স্কেটিং করতে দেখা গিয়েছে তাই কতৃপক্ষ মহিলাদের স্কেটিংকে নিষিদ্ধ করেছিল। 1809 আর 2019 এর মধ্যে খুব একটা কিছু বদলায়নি), Van Gogh (গলায় কফ্ নিয়ে উচ্চারণ করলে ভালো) এর উন্মাদ মনের অপূর্ব সব তুলির কাজ অথবা (আমার প্রিয়) Rembrandt’er গ্যালারি – সবটাই দ্যাখা যাবে আপনার নিজের সময়ে। যাদের এসব আর্ট পছন্দ নয় তারা দেখে নিতে পারেন আদ্দি কালের বন্দুকের অথবা প্রচুর model জাহাজের সংগ্রহালয় (একটা সময় ডাচ রা মূলত মার্চেন্ট ছিল – যারে কয় খাস জাহাজী)। ও হ্যাঁ – মোবাইল চার্জ করার জন্যে লকার আছে – বিনা পয়সায়।

Rijksmusuem এর টিকিট পাওয়া সহজ – €২০ (খিদে পেয়ে গেছে তাই রাস্তায় সস্তায় খাবার খেয়ে নিচ্ছি আমি। আপনারা ততক্ষনে ফুট ম্যাসাজ নিয়ে নিতে পারেন।)

৪. Van Gogh এর চিত্রের আলাদা মিউজিয়াম রয়েছে। Rembrandt’er বাড়িটাই মিউজিয়াম হয়ে গেছে. ইচ্ছে থাকলে দেখে নিন।

আমার অবশ্য সময় প্রায় শেষ তাই এগোচ্ছি Heineken এর প্রথম brewery এর দিকে – Heineken experience টুর – প্রবেশ মূল্য €২১ । বিয়ার বানানোর সরঞ্জাম ও প্রক্রিয়ার সাথে ওয়াকিবহাল হতে পারেন, বিয়ার টেস্ট করতে পারেন, বিয়ার ঢালায় ট্রেনড হতে পারেন এবং ২ গেলাস হেইনেকেন বিয়ার খেতে খেতে কিছু স্মারক কিনতে পারেন।

৫. আমস্টারডাম (amsterdam) সেন্ট্রাল স্টেশন ফেরত যাবার পথে ড্যাম স্কোয়ার (dam square) দেখে নিন। কোনো অনুষ্ঠান না থাকলে শুধু ছবি তুলে এগিয়ে পড়ুন। পথে আরো একটা কৌতূহলদিপ্পক মিউজিয়াম পাবেন যেখানে প্রবেশ মূল্য শুধু ৫ ইউরো – বাকিটা ক্রমশ প্রকাশ্য।

আপনারা আরো একটু বাঁদিক অথবা বিখ্যাত ডান দিক ঘুরে নিতে পারেন। আমি বরং স্টেশনে গিয়ে ট্রেন টা ধরি।

Sayantan is a management consultant by profession. He lives in Bangalore with his wife & two beautiful kids. His work takes him across the globe, and he makes the most of those assignments through some brilliant photography & blogging.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here